পৃথিবীর আদিকাল থেকে নিজেদের স্বার্থে দলবদ্ধ ও সামাজিক ভাবে বসবাস করছে। তাই সামাজিক সংগঠন কার্যকারিতা অনেক আগে থেকেই পরিচালিত হচ্ছে। সামাজিক সংগঠন হলো যা কতিপয় ব্যক্তি বিশেষের সমন্বয়ে শিক্ষা,সংস্কৃতি ইত্যাদি সহ সামাজিক উন্নয়ন কাজ করার লক্ষ্যে গঠিত হয়।তেমনি একটি সামাজিক সংগঠন হলো ‘উত্তরণ ‘ ক্লাব।২০১৭ সালের মার্চ ৭ তারিখ সুনামগঞ্জ পৌরসভার কালিপুর উত্তরপাড়ার কিছু যুবকের সৃজনশীল চিন্তা থেকে এই অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও সেবামূলক সংগঠনের সৃষ্টি। উত্তরণ ক্লাব সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে তারা সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে।অল্প কয়েকদিনের মধ্যে তারা এলাকার ভাঙ্গা সড়কের সংস্কার করে সেচ্ছাশ্রম এর ভিত্তিতে যাতে মানুষের চলাচলে অসুবিধা না হয়।তারা এলাকার ছেলে মেয়েদের মাদক ও জুয়া থেকে দূরে রাখতে প্রতি বছর নাইট ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে এতে শিক্ষার্থীদের মানসিকতার বিকাশ হয়।
প্রত্যেক ঈদে এলাকার সব ছেলেরা একই রং এর পোশাক পরে যাতে সবার মধ্যে ভালবাসার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও মসজিদ এর প্রস্রাবখানা ছিল না তারা বিত্তবান দের কাছ থেকে টাকা তুলে ৩০ হাজার টাকা ব্যায়ে তা তৈরি করে দেয় ।মসজিদের অবকাঠামো তৈরিতে সেচ্ছাশ্রম দেয়। ধর্মীয় অনুভূতি থেকেই তাদের এই কাজ করা।এছাড়াও প্রতি বছর তারা বনভোজন আয়োজন করে এলাকার সবাইকে নিয়ে। করোনা নিয়ে যখন সারা বিশ্ব স্থবির তখন উত্তরণ ক্লাব টাকা তুলে প্রায় ২০০ মধ্যবিত্ত পরিবারকে সহায়তা করে। এ ব্যাপারে জিএস নোমান বলেন, “আমাদের এলাকা আমাদের পরিবারের মত এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধান করা মানে হলো আমাদের পরিবার ও এর সুফল ভোগ করবে”। সাংগঠন এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাঃসম্পাদক ইউসুফ বলেন,, “আমাদের এই সেবামূলক কাজ এই ভাবেই মানুষের জন্য করে যেতে চাই তবে আশা করি সামনে সেবার পরিধি আর বাড়াতে পারবো”।স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন “এই সংগঠন হওয়ার পর এলাকায় সাদৃশ্য উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে ছেলেরা মাদক ও জুয়া থেকে দূরে চলে এসেছে”। বাসিন্দা জয়নাল হাজারী বলেন” পোলাপান ভাল কাম করতেছে এলাকার জন্য এটা দেখে ভাল লাগে”।
সমাজে সংগঠনের সৃষ্টি হয় সামাজিক উন্নয়ন এর জন্য কিন্তু উত্তরণ এর মত এত তাড়তাড়ি এলাকার সামাজিক উন্নয়নে অংশীদার হওয়াটা আসলেই ঈষনীয়।