হঠাৎ করেই ডেকে বলবো,
এই, শোনছো এক কাপ চা দাও,
২ চামচ চিনি, মনে থাকে যেন।
তুমি কিছুটা রাগত স্বরে বলবে এতো চিনি খেতে নেই..
আমি তখন মুচকি হেসে কিচ্ছু হবে না, তুমি আছ তো পাশে।
হঠাৎ আমার ভীষণ জ্বর গা পুড়ে যাচ্ছে।
আমি ব্যস্ত কবিতার পাতায়, কলমের কালি সাদা পৃষ্ঠা খোদাই করে খাচ্ছে।
খেয়াল নেই নিজের দিকে…
তুমি কপালে হাত দিয়ে চমকে যাবে..
জ্বর মেপে এক গ্লাস ঠান্ডা জল সাথে প্যারাসিটামল, দেবীর মতো করে খাইয়ে দিবে পরম মমতায়।
যেই মমতা আমি পাইনি বহুদিন…
জরাজীর্ণ এই পৃথিবীর বুকে।
আমার চোখের জলে দু’কুল ভাসিয়ে নদী ছুটে যাচ্ছে কোন এক অজানা প্রেমের উল্লাসে।
একটা পাল তোলা নৌকো, তার ভেতর লাজুক নয়নে তাকিয়ে আছে নববধূ।
ঠিক তোমার মতো করে।
বধূর চোখের কোন কূল কিনারা নেই..
কোথা হতে আসে জল কোথায় চলে যায়..
বধূও ঠিক জলের মতোই জলেতে সাঁতরায়।
হঠাৎ করে তোমার স্পর্শে ফিরে এলাম,
কল্পনা থেকে বসুন্ধরায়।
কি গো কি ভাবো এতো …!
ভাবছি…
তোমার সাথে পাড়ি দিবো হাজার বছর পথ।
একটা ছোট্ট নৌকোয়… তুমি সেই নববধূ।
একটু ঘুমাও তো,
জ্বরের ঘোরে কি সব আবোল তাবোল বকছো।
আমি ঘুমিয়ে পড়ি….
তুমি জানালায় আকাশ দেখো,
চোখে দু’ফোটা জল।
আকাশকে প্রশ্ন করো তুমি, “ভালোবাসায় কেন এতো ভয়? ভালোবাসা কেন এতো চঞ্চল, শীতল, নির্মল, কোমল?”