মিষ্টি খাদ্য পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া অনেক কঠিন।আসলে প্রায় সবারই কিছুটা হলেও মিষ্টি দ্রব্য পছন্দ।আমরা জীবনে অনেক chocolate বা cookies খেয়েছি,যারা ঝাল পছন্দ করে তাদের কথা এখানে হচ্ছে না।
যাই হোক মিষ্টি খাওয়া কি দোষের?
না,একদমই না।এতে দোষের কিছু নেই।তবে দোষ রয়েছে “চিনি” -তে।
হ্যাঁ,”চিনি”.
আগে বলি কেন চিনিতে সমস্যা।আর হ্যাঁ কথা গুলো আমি বলছি না,বলছে দীর্ঘ বহু বছরের বিজ্ঞানীদের গবেষণা।
মুলত চিনি আমাদের মস্তিষ্কের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু।চিনিতে থাকে সুক্রোজ।আর আমাদের মস্তিষ্কের খাদ্য হচ্ছে গ্লুকোজ।মুলত গ্লুকোজ আর ফ্রুক্টোজের সমন্বয়ে এই সুক্রোজ।রক্তে sugar level যত বেশি হবে তত বেশি insuline নামক হরমোন নির্গত হবে।এই হরমোন এর একটি কাজ হচ্ছে এই sugar থেকে শক্তি (ATP) বের করা।
কিন্তু অতিরিক্ত blood sugar এর ফলে insuline অতিরিক্ত নির্গত হবে আর insuline যত বেশি নির্গত হবে তত বেশি এটি sugar কে atp তে
Convert করে পেশি,কোষ,লিভার(যকৃত) এ রেখে দিতে চাইবে। যা পরবর্তীতে মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে যাবে।যদি শুধু গ্লুকোজ অথবা সুক্রোজ যেতো তাতে সমস্যা ছিল না,কিন্তু প্রস্তুতকৃত চিনি তে থাকা অন্যান্য রাসায়নিক ও অধিক সুক্রোজ যা কিনা মস্তিষ্কের ডোপামিনের কার্যের জন্য শত্রু যা নানা রকম মস্তিষ্ক ঘটিত সমস্যার কার। যেমন-
১.ডিমেনসিয়া বা স্বল্প স্মৃতিলোপ যা মারাত্মক stage এ এলযাইমার বা স্মৃতিলোপ হতে পারে।
২.ডিপ্রেশন
৩.অলসতা
এছাড়াও
type 1 & 2 diabetes mellitus সহ নানা রোগ।
my body usa এবং health line এর report অনুযায়ী usa তে ২০,০০০ মহিলার উপর প্রস্তুতকৃত চিনির পরীক্ষায় ও এইধরনের ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।
তবে প্রাকৃতিক মিষ্টি দ্রব্য যেমন আখ বা খেজুর গুড় খাওয়া যেতে পারে,এতে তেমন কোনো সমস্যা নেই।
তাই স্মৃতি ও শরীর রক্ষার্থে প্রস্তুতকৃত চিনি এখনই বর্জন করা উচিৎ ।