অনেককাল পরের কথা।
পৃথিবীতে ঘাসের অস্তিত্ব প্রায় বিলীন।
গাছপালার সংখ্যা আঙুল গুনে বলে দেয়া যায়।
সূর্য ঘন্টা দেড়েক ডিউটি করতে আসে।
এর বেশি সময় সূর্যকে থাকার অনুরোধ করলে শাসানি দিয়ে সূর্য বলে― “মামার বাড়ির আবদার ! ভাগ!”
মানুষ থাকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ভেতরে।
মানুষের আকার এতোটাই ছোট হয়ে গেছে যে তাদেরকে মুখে করে নিয়ে যায় বাদুড়ের দল।
নখ সাফ করাতে।
বিনিময়ে বাদুড়েরা মানুষদেরকে দেয় একবাটি করে খেজুরের রস, জন প্রতি!
মানুষেরা এখন আর গ্যাঞ্জাম, ফ্যাসাদ করেনা।
কারো রক্ত নিয়ে মাতামাতি করেনা।
বাদুড়ের ভয়েই তারা দিশেহারা।
খেজুরের রসের লোভে তারা এখন সব অন্যায় মেনে নিতে শিখে গেছে!
এখন তারা দিনের আলোয় ঘুমায়।
যে দেড় ঘন্টা সূর্য ডিউটি করতে আসে ঠিক ততটুকু সময়।
বহুদিন পরের সেই পৃথিবীতে কেউ আর সুয়োরাণী, দুয়োরাণীর গল্প শোনে না।
বরং উল্টোটা হয় এখন।
সুয়োরাণী,দুয়োরাণীরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে মানুষের গল্প করে,মানুষের গল্প বলাবলি করে।
অনেককাল পরের কথা,
মানুষ এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রূপকথা।