তারপর অনেক বছর আর কথা হয়নি। কে কোথায় কিভাবে আছে তাও দুজনের কারোরই জানা নেই। দুজন দুজনের জগৎ নিয়ে ব্যস্ত। তবে নিরাশার মাঝে মাঝে খুব মনে পড়ে ইশানের কথা। হাজার হোক কত রঙিন স্মৃতি। কেন যে দুজনের মধ্যে হঠাৎ ফাটল ধরলো।
আজ সকাল থেকে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।নিরাশার বৃষ্টি খুবই প্রিয় কিন্তু তা ছিল ইশান তার জীবনে থাকাকালীন। ইশান চলে যাওয়ার পর বৃষ্টির প্রতি টান তার চলে গেছে।কিন্তু কেন জানি আজ বৃষ্টির ছন্দটা তার খুব চেনা লাগছে। সেই আগের ছন্দ। নিরাশার মন যে আর টিকে না। সব ভুলে গিয়ে সে বৃষ্টিতে মুখ বাড়ালো। পেছন থেকে আচমকা কে যেন ডাকছে, নিরাশা…
পেছন ফিরে তাকাতেই নিরাশা হতভম্ব। দমকা হাওয়াও যেন তার চোখের পাতা নাড়াতে পারছে না। এক পলকে তাকিয়ে ছিল নিরাশা। কারণ সে যে তার অতি কাছের ছিল যে কি না পাঁচ বছর আগে তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। হ্যাঁ, সেই ইশান।
আবারো ইশান ডাকলো, নিরাশা..
নিরাশা মুখ ঘুরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই সে নিরাশার হাত ধরে ফেললো।
নিরাশা : দেখো ইশান, আমাদের সম্পর্ক তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে এত বছর পর আবার কেনো ফিরে এসেছো।
ইশান : আরেকটা সুযোগ কি পাওয়া যায় না।
হাসতে হাসতে নিরাশা বললো, একটি দড়ি যখন দুই দিক থেকে সমশক্তিতে টানা হয় তখন তা ছিঁড়ে যায়। আমাদের বেলায়ও এমনটাই হয়েছে। ভালো থেকো। আর নিজের খেয়াল নিও।
এইটুকু বলেই নিরাশা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো। তারপর অনেক বৃষ্টি এলো কিন্তু তাদের আর দেখা হলো না। এভাবে বৃষ্টিই একদিন তাদের কাছে এনেছিল আবার সেই বৃষ্টিই তাদের শেষ দেখা করিয়ে দিল।