যেভাবে সময় যাচ্ছে যাক—
মাতাল হওয়া মঞ্চের আত্মচিৎকার কিংবা টেনিসের নিশ্চুপ লাফানোর মধ্যেও তৃপ্তির ছাঁয়া আছে।
কিংশুকের গোলাপি আলোয় দিন যাচ্ছে…
যাক!
ক্রিকেটের বৈতনিক সমান্তরাল মাঠেও একটা গাঢ় নিঃশ্বাস ফেলে দীর্ঘক্ষণ বেঁচে থাকা যায়।
মঞ্চ অনুষ্ঠানের হৃদয় কাঁপানো কবি
হয়তো মাতাল চিৎকার দিয়ে ভুলিয়ে দিচ্ছে বেদনা—
সমুদ্রের বুকে ক’টা শুশুক প্রাণ ভরে পৃথিবীর বৈশ্বিক খেলা দেখছে।
তাদের এভাবেই যাচ্ছে সময়,
যাক!
গানের ম্যাটালদ্বয় আজকাল হৃদয় পোড়াচ্ছে,
মনে হচ্ছে জাগতিক অদৃশ্য কোন শক্তি এই সুরের আর্তনাদে ভূপৃষ্ঠে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করবে।
এর মধ্যেও’তো তাদের জীবন যাচ্ছে,
যাক!
অমীমাংসিত পৌরাণিক যুদ্ধের প্রলেপ হতে আজ সকলেই মুক্ত আমরা,
এমন কি,
মহাজাগতিক দস্যুর বিচরণ সমস্বরে টের পাই আজ—
ভালোই যাচ্ছে সময়
যাক না!
এন্টার্কটিকায় মহামারী পৌঁছার সর্বোচ্চ সুযোগ কোথায়?
সময়ের ব্যবধানে সেখানকার শুশুক-প্যাঙ্গুঈন সব নিজেদের আত্মরক্ষার কৌশল খুঁজে নিয়েছে।
সময় যাচ্ছে যাক—
সময়ের দিকে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় তাদের নেই।