মা’কে বাচাতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই সন্তানের আকুতি
রিয়াদুল ইসলাম,নোবিপ্রবি
/ ৩৩৮
বার
আপডেট সময় :
বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০
শেয়ার
হার্টে ব্লাড সার্কুলেশনের জন্য থাকা বাল্ব প্রায় অকেজো অবস্থায় মৃত্যু পথযাত্রী এক “মা” শাহিনুর আক্তার (৪৩)। সেই মা’কে মৃত্যু থেকে ফেরানোর আকুতি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) পড়ুয়া দুই সন্তান রাহেলা ও মাহমুদের। তাদের মা’কে বাঁচাতে প্রয়োজন পাঁচ লক্ষ টাকা।
হসপিটালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন নোবিপ্রবির বাংলাদেশ এন্ড লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হানা আক্তার রাহেলা ও বায়োকেমেস্ট্রি এন্ড মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম আল মাহমুদের মা শাহিনুর আক্তার (৪৩)। ডাক্তারের পরামর্শ মতে, এখনই হার্টের বাল্ব রিপ্লেস করে কৃত্তিম বাল্ব লাগানো ছাড়া তাদের মা’কে বাঁচানো সম্ভব নয়।
রাহেলা ও মাহমুদ জানিয়েছে, ২০০৪ সালে প্রথম তাদের মায়ের হার্টে রোগ ধরা পড়ে। ১টি বাল্ব ৮০ শতাংশ ডেমেজ হয়ে গেলে তখন পিটিএমসি (কৃত্তিম বেলুন দিয়ে ফুলিয়ে দেয়া) করানো হয়। এরপর ২০১১ সাল পর্যন্ত আর বড় কোন সমস্যা দেখা দেয় নি। ১২ সালের শুরুতে আবার গুরুতর অবস্থা দেখা দিলে ঢাকায় নিয়ে আবারো পিটিএমসি করানো হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে আরো একবার সহ মোট তিন বার পিটিএমসি করানোর পর এ পর্যন্ত তিনি ছোটখাটো চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করেন।
তারা জানায়, কিছুদিন ভালো থাকলেও চলতি বছরের জুলাইয়ের দিকে এই সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করতে থাকে। পরবর্তীতে কিছুদিন নোয়াখালী সদর হসপিটালে আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর সিরাজুল ইসলামের অধীনে চিকিৎসা নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তিনি বাল্ব রিপ্লেস করানোর পরামর্শ দেন এবং ঢাকায় স্থানান্তরিত করেন।
চিকিৎসা চলমান রয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, নোয়াখালী সদর হসপিটালে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কার্ডিওলজি বিভাগের ডাক্তার ফজিলাতুন্নেছা মালিকের অধীনে চিকিৎসা চলমান রয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অল্প দিনের মধ্যেই হার্টের বাল্ব রিপ্লেস করে কৃত্তিম বাল্ব লাগাতে হবে।
হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বাল্ব রিপ্লেস করানো সহ ওই হসপিটালে তার চিকিৎসা সম্পন্ন করতে এই পরিবারটিকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা গুনতে হবে। এই টাকা খরচ করে চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া এই মুহূর্তে ওই পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই মা’কে বাঁচাতে সেই মায়েরই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই সন্তান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহ শিক্ষক- শিক্ষার্থী, সহপাঠী ও বন্ধু-বান্ধব সকলকে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আকুতি জানিয়েছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর জননীর এমন অবস্থা জানালে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার কথা জানান, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উক্ত চিকিৎসা খরচে জন্য সাধ্যমত সহযোগিতা প্রদান করবো।