যতই নিষেধ করো, আমরা রাস্তায় বের হবো।
যতই না চাও, আমরা পড়ালেখা করবো।
যতই বাঁধা দাও, আমরা রোজগার করবো।
যতই বারণ করো, আমরা আমাদের
প্রতিটি ইচ্ছেকে দাম দেবো–
ছাদের গাছে ফুল ফোটানোর ইচ্ছে থেকে
রাতের রাস্তায় হাঁটতে পারার ইচ্ছে পর্যন্ত।
চুলোর আগুনে ঘামতে থাকার ইচ্ছে থেকে,
এসি রুমে বসে অর্ডার করার ইচ্ছে পর্যন্ত।
শোবার ঘরটা সুন্দর করে সাজানো থেকে,
দেশ, বিদেশ, গ্রহ নক্ষত্র ঘুরে আসার ইচ্ছে পর্যন্ত।
তোমরা যদিও অপছন্দ করো তবু…
তবু আমি পুতুল না খেলে, ফুটবল খেলবো।
তোমরা নাচের জন্য পায়ের শিকল কিনে দিলেও,
আমরা ক্যারাটে শিখতে বের হবো।
তোমরা চাইবে আমাদের বাহু নরম থাকুক,
কিন্তু বিশ্বাস করো, এতে খুব অসুবিধায় পড়তে হয়।
তোমরা মনে করো, তোমাদের বাহুবল
আমাদের বাঁচাতে পারবে,
কিন্তু তোমরা ব্যর্থ হও!
তোমরা বরাবরই ব্যর্থ ছিলে…
তোমরা মনে করো তোমরা ভালো, তোমরা সৎ, তোমরা সুন্দর।
অবশ্যই তোমরা তাই, তাই তোমাদের ভালোবাসি,
গর্ভে ধারণ করি, বিপদে সাহস দিই।
তোমরা আত্মত্যাগী, তাই তোমাদের শ্রদ্ধা করি,
বাবা বলে ডাকি।
কিন্তু, যা অসুন্দর, যা অশুভ, যা নোংরা, যা অসভ্য
তারা তোমাদের সাথেই মিশে থাকে,
তোমাদের সাথেই উঠে বসে, চা খায়, গল্প করে–
আমাদের গল্প করে।
কখনো সেই গল্প গুলো শুনে থাপ্পড় তুলেছ?
কখনো সেগুলো শুনে ধমক দিয়েছ?
কখনো বলেছ–”আমার সামনে এসব বলার সাহস করবি না”?
বলোনি, বলতে পারো না।
কারণ তোমরা বন্ধু, তোমরা একে অপরের
কোনো ক্ষতি কখনো করোনি।
বন্ধু প্রয়োজন, বন্ধু রাখো।
কিন্তু আমাদের থামাতে চেও না।
আমরা ওদের থাপ্পড় দিতে গেলে
চিৎকার করে বলো না–
“মেয়ে মানুষ আবার কিসের মারামারি শিখবি?”
পৃথিবীর সাথে সংগ্রাম করেই মানুষ আজ সভ্য হয়েছে।
বেচে থাকার লড়াই এ কোনো সেকেন্ড অপশন নেই।
সুতরাং ঘুম পাড়ানি গান গেয়ে লাভ নেই।
আমাদের ঘুম ভেঙে গেছে।