অন্ধকারের ছোঁয়ায় ভেসে গেছে যে আলো
নিয়ন বাতির অন্তীম মোহনায় তা হয়েছে কালো।
যে শহরের প্রতিটি অলিগলি দুর্বুদ্ধ-সবল
দিনের কোনো রং সেথায় হয়নি চপল।
বৃক্ষদেবী যে শহরে দিয়েছে আগুন
স্বপ্নের অপমৃত্যু সেখানে দ্বিগুণ।
দালান-কোঠা আছে যতো শতকে-শত
সূর্যও হারিয়েছে আলো অন্ধকারে যত।
অদ্ভুত-ভুতুরে নগরে দিনের শেষে,
রাত্রি নামে অন্ধকার কোন ভয়ের বেশে।
জীবন জীবিকার তাগিদ যেথায় হয়েছে দিশেহারা,
প্রার্থনা করিয়া তাহারা হয়েছে পাগলপারা।
যেখানে ইচ্ছে হলেই আলো খোঁজা যায়না,
সন্ধ্যার লৌকিকতায় মন উচাটনা।
স্বপ্নের মতন স্বচ্ছ নদী বইছে তার বুকে,
বৃক্ষরাজির পাতায় আজ কান্নার ধ্বনি বাজে।
দিন হলো এই সূর্যি এলো অন্ধকার’তো আছে বেশ,
এই নগরের কোলাহলে জীবন বুঝি হয়গো শেষ||
চারিদিক নির্জন-নির্জীব!
প্রানীদের বিচরণ সমস্বরে নিষিদ্ধ!
এখন কীটপতঙ্গের কোলাহল নেই
লাশের কোলাহলে সমগ্রশহর আবদ্ধ|
তুমি কোন রঙের শাড়িতে আসবে সেদিন?
আমার কথা কি আর মনে থাকবে তোমার??
তবুও বলি!
নীল শাড়ীটা খুঁজে না পেলে সেই মেটে রঙেরটা পড়েই এসো।
তাও ভালো ভাবে এসো।
মনে আছে?
আমার সবকিছুইতেই এক ফালি বাড়াবাড়ি ছিলো
তুমি ওখানটাতেই ভালো থাকতে।
‘নীল’ নীলক্ষা নিয়ে কত হরেকরকমের খুনসুটি হতো তোমার আমার।
আজ এসবের কিছুই চোখে ভাসে না।
শুনেছি,
আজকাল নীল শব্দটা শুনতেই মানা তোমার,
অথচ,
একটা নীল শাড়ী,
এক ফালি নীল চুড়ি,
এক জোড়া নীল নাক ফুলের জন্য তোমার কত শত আবদার ছিলো।
এখন কি তবে রেগুলার পিংক পড়ো?
নাকি স্বচ্ছ সফেদ?
যাই হোক—
নীল কোনো বস্তুই যে এখন তোমার দেহের গন্ধ পায় না
এ আমার নিতান্তই বিশ্বাস হয়!
একদিন ফের দেখা হবে
দেখে নিও—
তোমার নীল চোখের প্রেমিক এই আমি বলছি…
ফের দেখা হবে,
নীলাভ আকাশের নিচে||
ছলনা
আঠারোবাড়ি জংশনে