আমার কাম্য
এক সুতা বকুলের মালা নিয়ে
যখনি ইচ্ছে হবে তখনি
যদি তোমার খোঁপাতে জড়াতে পারতাম__
তবে কালো চুলেও তুমি এক অদ্ভুত স্পর্শ
পেতে,
ভালোবাসার স্পর্শ, নতুন অনুভূতির স্পর্শ
আরো পেতে বকুলের চাপা শুভ্র স্পর্শ
যে স্পর্শ তোমাকে আন্দোলিত করে যেত
তোমার শিরায় শিরায় উত্তেজনা ছড়িয়ে
দিত
কল্পনার দোয়ারে শুধু আমারই ছবি ভেসে
উঠত
আমি তোমাকে সেই স্পর্শই দিতে চেয়েছি
আমার সবটুকু তোমাকে দিয়ে
সব অধিকার তুলে দিয়ে
আমি তো শুধু এইটুকুই চেয়েছি
আর তো কিছু চাইনি!
বলো, চেয়েছি কি?
না চাইনি, তুমিও জান আমি চাইনি
জমিটা বরাবরের মতো কিনতে চেয়েছি
বর্গাচাষী তো আমি হতে চাইনি
বলো, চেয়েছি কি?
আমি
নজরুলের মতো বিদ্রোহী কেহ নই
নই জীবনানন্দের মতো প্রকৃতি প্রেমি
হুমায়ুন আজাদের মতো দৃঢ় লেখনির
লেখক নই
কিংবা নই মধুসূদনের মহাকাব্যের কাব্যিক
আমি নরসুন্দার বাতাসে বেড়ে উঠা সহজ
সরল প্রাণ
আমি তার শান্ত ঢেউয়ের মতো নিজের
গতিতেই বহমান
আমি চন্দ্রাবতীর স্পর্শ লাগা শহরের
নাগরিক
তার সরল কবিতার ন্যায় আমি ন্যায়ের
সাথে নির্বিক
আমি ক্যানভাসে থাকা জয়নুলের ঐ
ক্ষিপ্ত তুলির আছড়
তার নিঃশ্বাস আজও ধরে আছে আমার
প্রাণের শহর
রাজপথ সম শহুরের পথে
হেঁটে চলা এক শান্ত পথিক
শহরে ঠাসা সব সুখ্যাত জনতার ভীড়ে
আমি এক গৌণ শাব্দিক
অভিপ্রায়
তুমি মেনে নিলে হয়ে যাবে তবে
ছোট করে প্রেম এক কাপ
পাবেনা কাঙ্ক্ষিত কোনো দ্রব্য
কাপে গলিত ভালোবাসা মেশা উত্তাপ
সইতে পারবে কি?
নাকি অল্পতেই ঠোঁট পুড়াবে
বন্ধুত্বের কোনো নাম দেবে কি?
নাকি সেটাও উত্তাপে পুড়ে যাবে!
হৃদয়ের বেদিতে ঘাস
সাদা গোলাপ তুমি খুব পছন্দ করতে
তার সমস্ত সুবাস তোমাকে দিলাম
তবু তুমি ফিরে এসো
আগে যতখানি নাকি ভালোবাসতাম
তারও বেশি ভালোবাসা দিলাম
তবু তুমি আমার পানে এসো
তুমি তবু চলে এসো
চলে এসো বিধির সৃষ্ট বিয়োগের নিয়ম
ভেঙ্গে____
কিংবা এসো বিধাতার দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে
শুনো তুমি, আজও ফেলি আমি দীর্ঘশ্বাস
হৃদয়ের বেদীতে গজিয়েছে দেখ,
কেমন দীর্ঘ ঘাস