আমরা বাড়িতে এসে দেখি বাড়িতে কেউ নাই।কোথায় গেলো সবাই তাদের তো কোথাও যাওয়ার কথা নয়।পাশের বাড়িরকরিম চাচাকে বল্লাম আমাদের বাড়ির লোকজন কোথায় গেছে?
চাচা:স্টেট বলে দিলো তোমাদের বাসার খবর আমি কেমন করে জানবো।তোমাদের বাড়ি তো নিস্চুপ সব সময় শ্মশানের মতো থাকে।
বাড়িতে মানুষ বসবাস করে নাকি ভূত বসবাস করে টের পাওয়া মুশকিল।
আমি:যান তো ভাই থুক্কু চাচা ভয় পাওয়াইয়েন না।
চাচা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল।
আমি ঘরে ঢুকতে যাইবো এমন সময় মনে হলো করিম চাচা তো হাঁটতে পারে না।তাঁর তো একটা পা নেই।তাহলে ওটা কে ছিল?
আমি দৌড়ে তাঁর দিকে ছুটতে লাগলাম কিন্তু সেই লোকটার দেখা আর পাইনি।
ঘরে যেয়ে আমার মোবাইল খুঁজতে লাগলাম।আমার ঘরে বালিশের নিচেই পেয়ে গেলাম ফোন।
বাবাকে কল করতে যাবো তখন মনে হলো ফোনের ব্যালেন্স নাই।দৌড়ে বাজারে যেয়ে ফ্লাগজি লোড দিয়ে বাবাকে কল করলাম।
কিন্তু ওই পাশ থেকে একটা মেয়ের কন্ঠে ভেসে আসলো আপনি যে নম্বরে কল করেছেন তা এই মূহর্তে বন্ধ আছে।এবার তো মহা চিন্তায় পড়ে গেলাম কোথায় গেলো সবাই।
আফরোজাকে বললাম তুমি তোমার জীন রাজ্যে খবর নাও দেখ
তোমার বাবার লোক জন তো সবাইকে নিয়ে যায় নি?
আফরোজা:ওকে আমি দেখতেছি।
কিছুক্ষন পরে আফরোজা বলল তোমার বাবা মা আর ভাই জীন রাজ্যে আছে।বাবা নিয়ে গেছে কি করবে এখন।
আমি:নিয়ে চল ওখানে আমি রাজার পা ধরে ক্ষমা চেয়ে সবাইবে নিয়ে আসবো।
আফরোজা:আমি যেতে পারব না। যদি সবাই দেখে আমাকে আবার বন্ধি করে তখন কি হবে।
আমি:যখন বন্ধি করবে তখন ভাববো এখন চলো তাড়াতাড়ি। ওরা যদি বাবা মা ভাইকে কিছু করে ফেলে তাহলে কিন্তু আমি পুরো জীন রাজ্যকে
শেষ করে ফেলবো।
কথা শুনে আফরোজা আমাকে নিয়ে চলে আসলো তাঁদের রাজ্যে।
আফরোজা রাজ্যেই বাইরে রয়ে গেলো।
আমি রাজার কাছে যেয়ে বললাম আমার মা বাবা ভাই তাদের ধরে এনেছেন কেন?
আফরোজার বাবার নাম টর্নি সে বলল তুমি আমার মেয়েকে কাঁদিয়ে চলে যাবে আর আমি বাবা হয়ে বসে থাকবো কেমন করে।
আমি:এবার তো তাদের ছেরে দিন।
রাজা:তাঁদের পাঠিয়ে দিবো কিন্তু তোমাকে এখানে থাকতে হবে।
আমি:ওকে থাকবো,, তার পরেও সবাইকে পাঠিয়ে দিন।
রাজা হুকুম করলো সবাইকে নিয়ে যাও যেখান থেকে এনেছো সেখানে।
এমন সময় একটা জীন এসে বলল তাঁরা তিন জন আর বেচে নাই।
আমি:কি!!
রাজা:কে করলো এমন কাজ।
তারপর আফরোজা এসে বলল কে আর করবে নিস্চই তোমার ছোট মেয়ে।
রাজা মশাই বলল তৃষা এমন কাজ কখনোই করতে পারে না
প্রচুর কান্না পাচ্ছে আর রাগ ও হচ্ছে মনে হচ্ছে সবাইকে শেষ করে ফেলি কিন্তু আমি এখন তাদের কিছু করতে চাইলে উল্টে আমাকে শেষ করে ফেলবে।
রাজা মশাই:বিশ্বাস কর আজিজ তৃষা এমন করেনি, আর তৃষা ওর শশুর শ্বাসরি দেবরকে মারতে যাবেই বা কেন?
আমি:রাজা মশাই কথা বলার ইচ্ছে আমার নাই চলে যাবো আমার দেশে আর হ্যাঁ আমি আবার ফিরে আসবো প্রচুর শক্তি নিয়ে আপনার পুরো রাজ্য ধ্বংশ করতে।
রাজা অপলক চোখে তাকিয়ে বলল তোমার স্ত্রীকে নিয়ে যাও।
আমি:আফরোজা আছে ওকে দরকার নাই আমার আর ও আমার পরিবারকে খুন করেছে।
আফরোজা আমাকে নিয়ে আসলো আমাদের এখানে।
বাবা মা আর ভাইকে দাফন করে নিজেকে খুব একা লাগছে।
এমন সময় ইভা আমার কাছে এসে বলল কেমন আছো?
আমি ইভাকে দেখে একটা থাপ্পর দিয়ে বললাম তোর জন্য আজ আমি সব কিছু হারিয়েছি আরর বলছিস কেমন আছি।
আমার থাপ্পর থেয়ে ইভা মাটিতে পড়ে গেলো, কিন্তু উঠছে না
আমি ওর নাকের কাছে হাত নিতে দেখি ওর শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে।
তার মানে ইভা মরে গেছে!এই খবর যদি সবাই জানে তাহলে আগে পুলিশ আসবে আর আমাকে চৌদ্দ সিকির ভাত খাওয়াইবে।
তাই সবাই জানার আগে একে কোথাও লুকিয়ে রাখতে হবে।বাড়ির সামনে একটা বড় পুকুর ছিলো ওখানে মানুষ যায় না আর বেশ অন্ধকার ওই জায়গাটা সুযোগ বুজে সেখানে নিয়ে লতা পাতা দিয়ে ঢেকে রেখে দেই।
আশে পাশে সকলের মুখে ছরিয়ে গেছে ইভা নিখোঁজ।
আর এতে আমাকে সন্দেহ করেছে সবাই।
আমি কখনোই ধরা দিবো না,, রাগের বসে একটা থাপ্পর মেরেছি এতে মরে যেতে হবে নাকি।
আমাকে সন্দেহ করলেও কেউ আমাকে বলতে সাহস পাচ্ছে না কারণ সবাই জানে আমি ডিপ্রেশনে আছি তার পরেও শাহজাদপুর থানার এসআই সাজু আমাকে জিগ্যেস করলো,তোমার কি এমন কিছু মনে হয় না যে ইভাকে কেউ মেরে গোপোন করেছে?
আমি:স্যার চার দিন হলো আমার গোটা পরিবার শেষ হয়ে গেছে। আমি কেমন করে কার খবর রাখবো বলুন তো।
সাজু:তোমরা সাত দিন নাকি প্রেম করেছিলা , তাই বললাম আর কি যে কাউকে সন্দেহ করো কি না?যদি করো তাহলে বলতে পারো।কথা দিচ্ছি কেউ জানবে না তুমি বলেছো।
মনে মনে ভাবছি যদি এই ব্যাটাকেও একটা থাপ্পর দিয়ে মারতে পারতাম অন্তত ঘ্যান ঘ্যান তো আর শুনতে হতো না।
আমি:আমার সন্দেহজনক তেমন কেউ নাই।আর এখন আমি একটু একা থাকতে চাই।
আমি আফরোজাকে বললাম একে তড়াতাড়ি বিদায় কর।মুখ ফসকে কি বের হবে সেটাই ধরে বসবে।
আফরোজা ইভার রুপ ধরে এসআই এর সামনে দিয়ে হেঁটে গেলো আর এসআই ইভার পিঁছু।
ভাবছি কেমন করে জীন জাতীকে বিনাশ করা যায়।ওদের কে বোঝাতেই হবে মানুষেরা কম পারে না।যেনো বুঝতে পাড়ে মানুষের মধ্যেও অনেক বেশি শক্তি বিরাজমান।কিন্তু তাঁরা ব্যবহার করে না।
এমন সময় আফরোজা এসে বলল কি ভাবছো?
কিছুই না।
খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে,শোন চিন্তা করার কোন কারণ নাই কেউ জানতে পারবে না ইভাকে তুমি মেরেছো।
আমি সে ভিষয় চিন্তা করছি না, আমি চিন্তা করছি কেমন করে জীন রাজ্য শেষ করতে পারব?
সব করতে পারবে তার আগে আমাকে বিয়ে করে নাও।আর আমাকে একটা সন্তান দাও।তোমার সন্তান সবাইকে শেষ করে দিবে।
ওকে আর কটা দিন পরে বিয়ে করবো, আর তুমি আমার থেকে দূরে দূরে থাকবে এই কদিন।
ওকে।
তুমি আমার বাড়িতেই থাকো আমি অন্য কোথাও যাই কেমন।
যা ভালো মনে কর তুমি।
আফরোজাকে রেখে আমি ভালো কোনো তান্ত্রিক খোঁজ করতে লাগলাম।যার কাছ থেকে আমি শিক্ষা লাভ করবো আর জীনদের পরাজয় করবো।সব বট তলা সকল তেঁতুল তলা এমনকি সকল আম তলা খুঁজে একটাও তান্ত্রিক পেলাম না।না পেঁয়ে বাড়ি চলে আসি।বাড়িতে এসে আফরোজার কন্ঠে শুনতে পেলাম।
*আজিজ বাড়িতে এসে আফরোজার কন্ঠে কি এমন কথা শুনতে পারবে।
ইভাকে মারার পরেও আজিজ বেচে যাবে কি?
আমরা তো দেখলাম আজিজ ইভাকে একটা থাপ্পর দিয়ে মেরে ফেলেছে,সত্যিই কি আজিজ ইভাকে মেরেছে নাকি অন্য কিছু?