যখন থেকে আমি বুঝতে শিখেছিলাম,তখন থেকেই বাউণ্ডুলেপনায় দিন কেটেছে আমার।সময়গুলো দিব্যি কাটিয়েছি বাউণ্ডুলেপনায়।যখন যেখানে যেতে,থাকতে কিংবা যা করতে ইচ্ছে হতো ভাবনার জগৎকে জাগ্রত না করেই ইচ্ছের প্রাধান্য দিতাম।সময়গুলো হেলায় ফেলায় কাটিয়েছিলাম।তখন জীবন মানেই বুঝতাম না।জীবনটাকে উপভোগ করাই ছিলো দৈনন্দিন কাজ।
তবে যবে থেকে অপ্সরী তুমি আমার চোখের দৃষ্টিতে যায়গা করে নিলে,ঠিক তখনই বাউণ্ডুলেপনার জীবন থেকে বেরিয়ে নতুন করে জীবনের মানে খুঁজে পেয়েছি। তাইতো এখন নিঃসংশয়ে বলতে পারি জীবনের মানে,
যে দেহে প্রাণ আছে তা জীবন্ত। শ্বাস-প্রশ্বাস সচল রেখে জীবিত কোষের মাধ্যমে দেহে অনুভূতিকে বাঁচিয়ে রাখাটাই জীবন মনে হয় আমার কাছে।
জন্মের পর আজ অবদি অনেক মেয়ের দেখা পেয়েছি কিন্তু বিশ্বাস করো,তোমার মতো এতো অপরুপ মায়াবী কাউকে দেখিনি।শুনেছি যেকোনো মানুষের জীবনে এমন একজন আসে,যার আগমনে আলাদা অনুভূতি মনের মধ্যে বিরাজমান হতে থাকে।তোমাকে নিজের করে যেদিন আবিষ্কার করলাম,সেই মুহূর্তে কেমন জানি একটা অনুভূতি, ভাল লাগাটা বাঁধ ভাঙা নয় কিন্তু একটু অন্য রকম।হয়তো এজন্যই লোকে বলে, ভালোবাসার কোন পরিমাপ নেই, কোন অর্থ নেই, নেই কোন ছিদ্রপথ।
তবে সত্যি বলতে তোমাকে পাবো কি পাবোনা জানিনা। শুধু এতটুকুই জানি আমি তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসি, আমি হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছুঁতে যাই,তুমি কি বাড়িয়ে দিবে তোমার হাত??
তুমি জানতে চেয়েছিলে তুমি আমার জীবনের অংশ হওয়াতে আমি বাউন্ডুলে জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি কী??
শুনো মানুষের জীবনে সব কিছুরই পালা বদল ঘটে। আজ যা অপছন্দের, কাল তা পছন্দের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসতে পারে। যে ব্যাপার গুলোতে কখনো কোনো আগ্রহই ছিল না, সেগুলোই আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দু হতে পারে। চোখে যা একসময় নিতান্তই সাদামাটা হয়ে ধরা দিত তা রংধুনু হয়ে ধরা দিতে সময় নেয় না। আমার বাউন্ডুলে জীবনে সবকিছু এলোমেলো করে তুমি এলে। নিজের মাঝে পরিবর্তন গুলো ধীরে ধীরে স্বচ্ছ হতে লাগল।নিজেকে পরিণত অনুভব করতে শুরু করলাম।আমার মাঝে অনেক পরিবর্তন এলো।যদিও এখন শিখছি তোমার থেকে, আমি অনেক ভুল করি যেগুলো তুমি শুধরাতে গিয়ে বারংবার রাগ দেখিয়েছি।তবে, যা “আমি” ছিলাম, তা আমি এখনো আছি কিন্তু কোথায় জানি তোমার ছোঁয়ায় কিছুটা শুদ্ধ হয়ে বদলে গেছি। অনুভুতির ছোঁয়া গুলো বেশ আবেগী হলেও তোমার বেলায় ভিন্ন।তুমি বাস্তববাদী মানুষ।আবেগকে তেমন প্রশ্রয় দাও না।আচ্ছা থাক এসব কথা।
সবার শেষে স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে গিয়ে বলতে চাই, আমার এই বিশেষ মানুষটির বিশেষত্ব গুনাবলি যেন আমার সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকে। তুমি যেখানেই থাকো না কেন আনন্দ, সুখ, হাসি এই শব্দগুলো যেন তোমার নিত্য সঙ্গী হয়ে থাকে। তোমার ছোট্ট পৃথিবীর ছোট ছোট স্বপ্নগুলো পূর্ণতাকে স্পর্শ করুক।
ক্রান্তিকালের পরিসমাপ্তি ঘটলেই আবার এক হবো আমরা।স্মৃতির পাতায় যোগ হতে থাকবে অসমাপ্ত মুহূর্ত।আমার তুমি হয়েই থাকবে সবসময়।
নিজের যত্ন নিও প্রিয়।
ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই দেখা হবে ।