সেদিনের পর থেকে তাহার সাথে গল্প বলা কিংবা সময় ব্যয় করা অধিকতর কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠেছিলো।
আর এভাবেই আমি ভালো থাকার চেষ্টায় মত্ব থাকতাম। উনিও হয়’তো অন্তরালে আমায় নিয়ে ভাবতেন—অবশ্য যথেষ্ট প্রমাণ আছে এ কথার।
অভিমান কত বৈচিত্র্যময়?
এর কত ধরনের রূপ হয়!
তা নিজ আত্মার সাথে ঘটেছে বিধায় আমি বোধ করতে পেরেছি।
একটা কথা কি!
আমাদের অভিমানের ভান্ডার সর্বদাই স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলো।সব কিছুতেই যথেষ্ট অপূর্ণতা থাকলেও অভিমানে দু’জনের কেউ কারও থেকে পিছিয়ে নেই। এমন ভাবেই কেউ একজন খুশি থাকার চেষ্টা করে। আমিও ভালো থাকি।
এ কথা অবশ্য বলা শ্রেয়….
তাহার আকাশ হতে যদি কোন একটা নক্ষত্র খসে পড়ে—
তার শুরুটা বোধহয় আমি নামক গাঢ় বেগুনি নক্ষত্র দ্বারাই হবে।
এভাবেই সময় যাচ্ছে,
যাচ্ছিলো…..
আমি শূণ্যতায় পূর্ণতা খুঁজতাম সেই শৈশব থেকে। পেয়েছি যা, তাই বা কম কিসে?
এক সাথে থাকা মানেই অভিমান—
ভালোবাসা মানেই অভিশাপ—
প্রেমময় হৃদয় মানেই অসম্ভব আবেগী—
অতসবের সত্যতা কতটুকুন তা আমার নিতান্তই অজানা। তবে প্রণয়শূণ্য এ হৃদয় তা বিশ্বাস করতে না’রাজ।
যা পূর্বেও বলেছি,
এখনও বলছি……
আমি বলি কী!
ভালোবেসে যে যতটুকুনই পেয়েছেন—
সন্তুষ্ট থাকুন,
থাকা উচিত।
অন্ততঃ আমার তাই মনে হয়।
ধরে নিলাম,
একজন মানুষ কথায় কথায় আপনার সাথে অভিমান করে,রাগ করে,প্রচন্ডভাবে মাথাও গরম করে ফেলে।এর মানে’টা বুঝা হয়তো আপনার জন্য খুব বেশি কঠিন কাজ বলে আমার মবে হয় না।কেউ যদি এই অভিনব প্রক্রিয়াটা অপজিট দিক থেকেও করার নিরন্তর চেষ্টায় থাকেন, বোধহয় তখনোই বিচ্ছেদের ঘোর চলাচল শুরু হয় মনের অন্তস্থলে।
অন্যথায় হওয়ার কথা না।
সার্বক্ষণিক অভিমান চলছে…
চলুক না,
আমিও আছি।
চোখের নজরে পড়েনি ঐ মানুষটা—
জীবনে কখনো তাহার কাঁজল চোখে চোখ রাখার সুযোগ হবে কি না,তাও জানি না।
তবে এতটুকুন নির্দ্বিধায় বলতে পারি,
সম্পর্ক কেবল পাশে থাকলেই গভির হয় না,
দূর থেকে যদি প্রিয় মানুষটাকে বোঝার শক্তিটুকু সৃষ্টিকর্তা কাউকে দিয়ে থাকেন, এখানেই প্রনয়ের পূর্ণতা কিংবা গভিরতা।
আর ইহাও শ্রেষ্ঠ একটা নিয়ামত।
কখনো দেখা না হোক,
এটা সে-ও চায়,চাই আমিও—
হয়’তো বারংবারই ভালো থাকার অভিশাপ জুড়ে দিবো তোমায়।
এতে অভিনব অভিমানগুলোও চিরতরে মুছে যাবে,
এমনটাই এ হৃদয় বলে||