উনিশ শত পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট
জাতির জীবনে এক কালো অধ্যায়।
ঘাতক হায়েনাদের তান্ডবলীলায়
কেঁপে ওঠেছিল ডানমন্ডির ৩২ নং বাড়ি।
একদল বিপথগামী সেনা সদস্যদের
অতর্কিত গুলি বুলেটের হামলায়
এক এক করে কেড়ে নেয়
কতগুলো তাজা প্রাণ।
ওরা ছিল নির্দয় পাষন্ড,
ওরা ছিল নরপিচাশ জানোয়ার,
ওরা ছিল নরখাদক রক্ত পিপাসু।
ওদের পরিকল্পিত ও বর্বোচিত হামলায়
রক্তস্রোতের বন্যা বয়েছিল সেদিন।
ওরা জাতির পিতাকে স্বপরিবারে
নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
ওরা জাতির পিতার সাথে
বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিল।
একবারও কি ওদের বুক কাঁপেনি?
ওরা কিভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল!
একজন মহান নেতাকে
একটি দেশের স্থপতিকে
একজন রাষ্ট্রনায়ককে
একজন জাতির পিতাকে
কিভাবে ওরা হত্যা করতে পেরেছিল!
বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন মহান নেতা,
যার মুখে ছিল দীপ্ত বাণী
যার বজ্রধ্বণিতে কেঁপেছিল দেশ,
গর্জে ওঠেছিল বাঙ্গালী জাতি।
যার কন্ঠে ভেসেছিল স্বাধীনতার ডাক।
যার কন্ঠে এসেছিল ঐক্যের ডাক।
যার কন্ঠে ভেসেছিল-
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
যে ছিল একজন সাহসী বীর,
যার ডাকে সাড়া দিয়েছিল কোটি কোটি বাঙ্গালী।
একাত্তরের ১৫ আগস্ট
বাঙ্গালী জাতির শোকগাঁথা একটি দিন।
সেদিন বাংলার আকাশ বাতাস কেঁদেছিল।
একজন মহান নেতাকে হারিয়ে
বাংলাদেশ ও বাঙ্গালীরা হয়েছিল একাকার।
একজন অভিভাবককে হারিয়ে
বাংলাদেশ আঁধারে নিমজ্জিত হয়েছিল।
১৫ আগস্ট বাংলার ইতিহাসে
একটি কলংকময় দিন।
১৫ আগস্ট বাঙ্গালী জাতির শোকাবহ দিন,
যেদিনটি রবে ইতিহাসে মলিন।